সর্বশেষ আপডেট : ২৬ মিনিট ১৩ সেকেন্ড আগে
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ সেতু কোনো কাজেই লাগে না

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৮ নম্বর নড়াইল ইউনিয়নে কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে নির্মিত চারটি সেতুর একটিও নির্মাণের পর থেকে জনগণের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো কাজেই আসছে না। ১৫ বছর ধরে সেতুগুলো স্রেফ পড়ে আছে।

উপজেলার পূর্ব নড়াইল থেকে কাওয়ালীজান রাস্তার শিবধরা বিল ও ধলিকুড়ি বিলের মাঝে দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ১৫ বছর আগে ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহায়তায় ৪টি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে কোনো মাটি ফেলা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। রাস্তার ওপর বড় বড় কাশবনের গাছ, সেতুগুলোতে উঠতে মই ব্যবহার করা ছাড়া ওঠা সম্ভব নয়।

অর্থ অপচয় করে কেন এতগুলো সেতু নির্মাণ করা হলো একসাথে, জানতে চাইলে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কোনো অফিস বা কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কাওয়ালীজান গ্রামের হযরত আলী বলেন, সেতুর দেড় কিলোমিটার রাস্তায় মাটি ফেলা হলে সেতুগুলো ব্যবহার করে প্রায় ৭ গ্রামের মানুষ হালুয়াঘাট উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। এই রাস্তাটিতে কোটি টাকা খরচ করে চারটি সেতু নির্মাণ করা হলেও ১৫ বছর ধরে এখানে মাটি ভরাট না করায় এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না রাস্তাটি।

কাওয়ালীজান গ্রামের বাসিন্দা হানিফ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর হলো সেতুগুলো নির্মিত হয়েছে। অথচ কেউ এখানে একটু মাটিও ফেলা হয়নি। আমরা সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করি। সেতুগুলো অযথা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রাস্তাটির গুরুত্বের কথা স্বীকার করে বলেন, করোনার কারণে আমাদের একটি প্রকল্প ফেরত গিয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে যদি সম্ভব হয় আমরা এখানে মাটি কেটে ভরাট করব এবং কার্পেটিং করব।

কিভাবে একসঙ্গে চারটি সেতু নির্মাণ করা হলো এবং এগুলো নির্মাণে ব্যয় কত টাকা এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাল উদ্দিন বলেন, আমি এ বছরের মার্চে যোগদান করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও কিছু জানায়নি। আমাদের অফিসে সেতুর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ সাগর বলেন, এটা আমাদের মাধ্যমে নির্মিত কোনো সেতু বা রাস্তা নয়। এটি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমাদের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কোনো চুক্তি কখনো হয়নি। যদি কেউ বলে এটি এলজিইডির রাস্তা বা সেতু তাহলে কাগজপত্রে প্রমাণ করতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমরা খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। একসঙ্গে চারটি সেতু কতটুকু যুক্তিসংগত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জেনে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।সূত্র : কালের কন্ঠ

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: